creativesoftbdf

নজর দিন সুস্থ থাকতে ঘরের জিনিসে


 অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যে কাউকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। বিছানার চাদর থেকে পাপোস সবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। দীর্ঘদিন এগুলো না ধুয়ে ব্যবহার করলে ছত্রাক ও ধূলিকণা জমে রোগের কারণ হতে পারে।

ঘরের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র নিয়মিত ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা না হলে তা বিপদের কারণ হতে পারে।

১.চাদর

আপনার ঘরের বিছানাই আপনাকে করে ফেলতে পারে অসুস্থ। একজন ব্যক্তির প্রতি সপ্তাহে গড়ে প্রায় ১৫ গ্রামের মতো মৃত চামড়া ঝরে যায়। এগুলো বিছানায় লেগে থাকে। আর এই মৃত চামড়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ের প্রধান খাবার। এসব পোকা আপনার অ্যাকজিমা বাড়িয়ে দিতে, ত্বকের জ্বালা, অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর পরিষ্কার করতে হবে।

২. বাথরুমের সামনের মাদুর

ভেজা পা মোছার জন্য বাথরুমের সামনে একটি মাদুর আমরা রেখে থাকি। এটি আপনকে অসুস্থ করে দিতে পারে।

বাথরুমের সামনের মাদুরে বিভিন্ন বিপজ্জনক ব্যাক্টেরিয়া, ছাঁচ প্রজনন করে থাকে।  আর এই মাদুর বেশি আর্দ্র থাকার কারণে এটি বেশি হয়ে থাকে। তাই এসব মাদুর মাসে অন্তত দুবার গরম পানিতে পরিষ্কার করুন।

৩. ফ্রিজের নোংরা ড্রয়ার

ফ্রিজের বিভিন্ন ড্রয়ারে ই-কোলি, সালমোনেলাসহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক অনুজীব থাকে। যেগুলো খাবারে বিষক্রিয়া ঘটানোর মাধ্যমে খাদ্যবাহিত রোগে অসুস্থ করতে পারে আপনাকে। ইউএসএ টুডের মতে, এই ব্যাক্টেরিয়াগুলো খাবারের বিষক্রিয়ার লক্ষণ হতে পারে, যা পেট খারাপ হওয়া থেকে শুরু করে কিডনি বিকল হওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

তাই ফ্রিজ থেকে বের করলে তা অবশ্যই ধুয়ে খেতে হবে।

৪. ঘর পরিষ্কারসামগ্রী

ঘর পরিষ্কারের বিভিন্ন সামগ্রী ও পণ্য আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। কারণ এসব পণ্যে ফর্মালডিহাইড, পারক্লোরিথিলিনসহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ থাকে। আর এসব উপাদান আপনার ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়তা করতে পারে।

৫. ছত্রাক

ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছাঁচ বা ছত্রাকের জন্ম হয়ে থাকে, যা আমাদের অনেক ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে যেসব জায়গায় আর্দ্রতা বেশি থাকে সে জায়গাগুলোতে ছাঁচ বা ছত্রাক বেশি জন্ম নিয়ে থাকে।  ঘরের স্যাঁতসেঁতে জায়গা, বেসিনের আশপাশ, ঝর্ণার কোণা, জানালার কোণাসহ বিভিন্ন জায়গায় এগুলো বেশি হতে দেখা যায়। ফলে আপনার বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, নাক বন্ধসহ আরও অনেক সমস্যা হতে পারে এবং এটি হাঁপানির লক্ষণগুলোকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

তাই এসব স্থানে ডিটারজেন্ট ও পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে এবং ঘরে যতটা সম্ভব আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.