creativesoftbdf

এবার ড্রোন ক্যামেরা স্মার্টফোনেই


 ঢাকা : অভাবনীয় প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে এই মুহূর্তে অন্যতম জনপ্রিয় স্মার্টফোন-মেকার Vivo। সম্প্রতি ক্যামেরা প্রযুক্তি প্রতিযোগীদের থেকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে চিনের স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী কোম্পানি Vivo। 

ভারতেও যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে এই চিনা স্মার্টফোন-মেকার। খুব সম্প্রতি, স্মার্টফোন ক্যামেরায় গিম্বল ব্যবহার করে চমকে দিয়েছিল Vivo। কিন্তু, প্রযুক্তির উদ্ভাবনী শক্তির সঙ্গে গ্রাহকদের পরিচয় করাতে এখানেই থেমে থাকতে রাজি নয় কোম্পানিটি। সম্প্রতি Vivo-র ফাইল করা একটি পেটেন্ট দেখে মনে হয়েছে, স্মার্টফোন ক্যামেরা প্রযুক্তিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাইছে এই কোম্পানি। আজকাল অনেক ড্রোনেই দুর্দান্ত কোয়ালিটি ক্যামেরা থাককে। কিন্তু, এবার Vivo ফোনেই দেওয়া হতে পারে পারে একটি ডিটাচেবল ড্রোন ক্যামেরা।

সম্প্রতি একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, গত বছর পেটেন্ট ফাইল করেছে Vivo, যা প্রকাশিত হয়েছে এক জুন। পেটেন্টের ছবি দেখে একপ্রকার পরিষ্কার এই ক্যামেরায় একটি ডিটাচেবল ক্যামেরা মডিউল যা ড্রোন বা ফ্লাইং ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর তাতেই বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, এমনতর প্রযুক্তি স্মার্টফোনে প্রথম বার দেওয়া হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে স্মার্টফোনের ক্যামেরায় যুগান্তকারী প্রযুক্তি হতে চলেছে এই ড্রোন বা ফ্লাইং ক্যামেরার কনসেপ্ট। কী থাকছে এই স্মার্টফোন ড্রোন ক্যামেরায় এবং কী ভাবেই বা কাজ করবে?

এই ডিটাচেবল ক্যামেরা মডিউলে রয়েছে মোট চারটি পাখা। এছাড়াও, এই মডিউলে থাকছে একটি আলাদা ব্যাটারি, যা ফোনের ব্যাটারির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং তা ব্যবহৃত হবে কেবল মাত্র সেই ফ্লাইং ক্যামেরা চার্জ করতেই। এছাড়াও, মডিউলে রয়েছে দুটি ক্যামেরা সেন্সর। ক্যামেরা মডিউলের সঙ্গেই এই ক্যামেরায় থাকছে দুটি ইনফ্রারেড সেন্সর। যদিও, কেন এই ইনফ্রারেড সেন্সরগুলি ব্যবহার হয়েছে, তা এই পেটেন্ট দেখে বোঝা সম্ভব হয়নি। মনে করা হচ্ছে, স্মার্টফোন ওড়ানোর সময় যেন অন্য কোনও বস্তুতে তা ধাক্কা না মারে, সেই কারণেই এই সেন্সর ব্যবহার করা হচ্ছে।রিপোর্টে জানানো হয়েছে এই ফ্লাইং মডিউলে থাকতে পারে অটোমেটিক ফলো মোড, যা গ্রাহককে ফলো করে ভিডিয়ো অথবা ছবি তুলতে পারবে। যদিও এই সব তথ্যের সমর্থনে পেটেন্ট থেকে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

এই ডিটাচেবল মডিউলের ডিজাইন অনেকটা Air Pix ফ্লাইং ক্যামেরার মতো। Air Pix-এর সাইজ মাত্র 10 cm। তবে, Vivo যে মডিউল তৈরি করছে, সেই প্রডাক্টের থেকে অনেকটাই ছোট হতে হবে। কারণ, একটি স্মার্টফোনের মধ্যে ঢুকে যাবে এই ফ্লাইং ক্যামেরা মডিউলটি। এই পেটেন্ট দেখে অনেকে উৎসাহিত হলেও, আসলে Vivo এই ফোন তৈরি করছে কিনা সেই বিষয়েও নির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.