creativesoftbdf

নিম্নাঞ্চল প্লাবিত তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপরে,


 ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে গর্জে উঠেছে তিস্তা নদী। সামনে ও আশে পাশে যা পাচ্ছে তা ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতে বন্যা ও ভাঙনের কবলে পড়েছে নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা, কালিগঞ্জ আদিতমারীসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষজন।

এ অবস্থায় দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তার চরবেষ্টিত ২২টি গ্রাম ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।

শুক্রবার সকালে তিস্তার পানি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাঁপানী ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

তিস্তা বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, উজানের ঢল আর ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

ঝুনাগাছ চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামা মৌজার ৬শতাধিক বসতভিটায় হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি তলিয়ে রয়েছে। এসব এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলো রান্না করতে পারছে না। তারা শুকনো খাবার খেয়ে দিনাতিপাত করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, তিস্তায় উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছি আমরা। তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। দুপুরের পর থেকে পানি কমতে শুরু হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.