creativesoftbdf

ফেনীতে মন্দিরে হামলার ঘটনায় ৫ জনকে রিমান্ডে চায় পুলিশ


 ফেনীতে পূজা উদযাপন পরিষদের কর্মসূচিতে হামলার পর মন্দির ও হিন্দুদের দোকানপাটে ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

দুদিন আগের ওই ঘটনায় এ নিয়ে মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হল। সোমবার সন্ধ্যায় তাদের ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে পাঁচজনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।  

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন জানান, পাঁচ আসামির প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হয়েছে আবেদনে।

দুর্গাপূজা চলাকালে কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে শুরু সহিংসতা শুরুর পর তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়।

এর প্রতিবাদে শনিবার ফেনীতে পূজা উদযাপন পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতির মধ্যে হামলা হয়। জেলা শহরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় হামলাকারীরা।

এরপর কয়েকটি মন্দির এবং হিন্দুদের মালিকানাধীন বেশ কিছু দোকানপাটে ভাংচুর, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয় সেই রাতে। সাত ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিনসহ ৪০ জন আহত হন।

ওই ঘটনায় রোববার ফেনী মডেল থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ। দুই মামলায় প্রায় ৪০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

রোববার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ফেনী পৌরসভার মাস্টারপাড়ার আবদুল মান্নান (৪৬), ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের পূর্ব মোটবী গ্রামের এনামুল হক রাকিব (২০) ও ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দক্ষিণ ডেমরা এলাকার মো. মিরাজকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

র আগে র‌্যাব ফেনী পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম রামপুরের বাসিন্দা আহনাফ তৌসিফ মাহমুদ লাবিব (২২), কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার আমান সরকার বাজার এলাকার ফয়সল আহম্মেদ আল আমিন (১৯) ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের হাফেজ আবদুস সামাদ জুনায়েদকে (১৯) গ্রেপ্তার করে।

মামলায় তৌসিফ মাহমুদ লাবিবকে ‘উসকানিদাতা, হামলা পরিকল্পনাকারী ও নাশকতাকারীদের হোতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জুনায়েদ জাহেদ বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাবিব বলেছে, শনিবার সন্ধ্যায় ফেনী বড় মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে দুই বন্ধু মুন্না ও সফীকে নিয়ে এক বোতল পেট্রোলসহ সে কালীমন্দিরে যান। সেখানে মন্দিরের পুরোহিতকে মারধর এবং মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় তারা।”

চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন সোমবার ফেনীতে ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির ও আশ্রম পরিদর্শন করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এসব হামলা করছে। পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।  গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.